শক্রকে চিনতে পারা
-রেভাঃ আবদুল মাবুদ চৌধুরী
ঈসায়ী ঈমানদার হিসেবে প্রথমে জানতে হবে, আমাদের শক্র কে?
যারা আমাদের বিরোধীতা করছে? যে আমার মন্দ সমালোচনা করছে? যে আমাকে পছন্দ করে না? যার সাথে আমার মতের মিল নেই?
যে আমার উন্নতি দেখে খুশী হয় না? সাধারণ ভাবে আমরা কাকে শক্র হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি?
কিতাব বলে, আমাদের শক্র হলো শয়তান (১ ইউহোন্না ৩:৮ আয়াত) ” . . . কেননা শয়তান প্রথম থেকেই পাপ করিতেছে। . . . ”
১. সে কোথা থেকে এসেছে?
পয়দায়েশ ১:১; হিজরত ২০:১১; নহমিয় ৯:৬; কলসিয় ১:১৬
প্রথমতঃ আমরা দেখি যে, খোদা সৃষ্টির প্রথমে ছিলেন, শয়তান নয়
দ্বিতীয়তঃ আমরা দেখি যে, খোদা সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, শয়তান নয়
তৃতীয়তঃ আমরা দেখি যে, খোদা শয়তান তৈরী করেছেন।

ইহিস্কেল ২৮ : ১২ – ১৯ আয়াত : এখানে শয়তানের সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সে সৌন্দর্যে ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ ছিল। খোদা তাকে পরিপূর্ণ ভাবেই সৃষ্টি করেছিলেন। তাকে বেহেস্তের এদন বাগানে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে সে আসল রূপে আর্বিভূত হলো (পয়দায়েশ ৩:১)।
তাকে বিশেষ সম্মান দেয়া হয়েছিল। সে খোদার প্রশংসা ও আরাধনা করার দায়িত্বে অভিষিক্ত ছিলেন। হিজরত ৩০:২৬; ইশাইয় ৬:১-৩ ও হিজরত ২৫ :২০।
কিন্তু খোদা নিজে ঘোষনা করলেন (ইহিস্কেল ২৮ : ১৫), তোমার সৃষ্টি দিন অবধি তুমি আপন চালচলনে সিদ্ধ ছিলে; শেষে তোমার মধ্যে অন্যায় পাওয়া গেল।
আর তাই তাকে সেই উচ্চ স্থান থেকে জগতে (ভূমিতে) ছুড়ে ফেললেন। তাকে ছাইয়ের মতো করে ধ্বংস করে ফেলবেন (১৭-১৯ আয়াত)
ইশাইয় ১২ : ১২ – ১৪ আয়াত :
”প্রভাতি-তারা, ভোরের সন্তান” বলা হয়েছে। অর্থাৎ উজ্জ্বল তারা ছিল। কিন্তু এখানে দেখা যায় সে নিজের সম্পর্কে ৫বার ’আমি করব বা হব’ বলে সম্ভোধন করেছে। যা তার অহংকার ও বোকামী প্রকাশ করে।
ক) “আমি বেহেস্তে উঠব” – সে চিন্তা করছে খোদার উপরে উঠবে।
খ) “খোদার তারাগুলোর উপরে আমার সিংহাসন উঠাব” – সমস্ত ফেরেস্তার উপরে তার ক্ষমতায় উপবিষ্ট হবার ধারণা (আইয়ুব ৩৮:৭)
গ) “সেই পাহাড়ের উপওে আমি সিংহাসনে বসব” – সবাই তার এবাদত করবে (দানিয়েল ১১ : ৩৭; ২ থিষলনী ২:৪)
ঘ) “আমি মেঘের মাথার উপরে উঠব” – মেষ হলো খোদার ঢাকনা (হিজরত ১৩:২১)
ঙ) “আমি খোদার সমান হব” – সে মনে করছে খোদার স্থান দখল করার।
ইশাইয় ১৪ : ১৫ – ১৭ আয়াত :
তাহলে কে এখনও কথা বলছেন? কে এখনও সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন? তিনি হলেন খোদা। তিনি শয়তানকে বিচারের সম্মুখিন করবেন। শয়তান যখন মানুষের মধ্যে তার ক্ষমতা দিয়ে কাজ কওে, তখন বুঝতে হবে যে, তার আসলে কোন ক্ষমতা নেই, সে শুধু দেখায় যে তার ক্ষমতা আছে।
২. তার নামগুলো কি? বা সেই শক্রর নাম কি?
১) আবদ্দোন (হিব্রু ভাষায়); আপল্লুয়োন (গ্রীক ভাষায়) অর্থাৎ বিনাশক (প্রকাশিত কালাম ৯ : ১১)
২) ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী (প্রকাশিত কালাম ১২:১০)
৩) শক্তিশালী প্রতিরোধকারী (১পিতর ৫ : ৮)
৪) পংগপালদের বাদশাহ (প্রকাশিত কালাম ৯ : ১১)
৫) দজ্জাল বা খ্রীষ্টারির আত্মা (১ ইউহোন্না ৪ : ৩)
৬) বেলসবূল (ভূতগণের অধিপতি) (মথি ১২:২৪; মার্ক ৩:২২; লুক ১১:১৫)
৭) বলীয়াল (২ করিন্থীয় ৬ : ১৫)
৮) দিয়াবল (মিথ্যা অভিযোগকারী) মথি ৪:১; লূক ৪:২, ৬; প্রকাশিত কালাম ২০:২)
৯) শক্র (মথি ১৩ : ৩৯)
১০) মন্দ আত্মা (১ শমুয়েল ১৬ : ১৪)
১১) সমস্ত মিথ্যার পিতা (ইউহোন্না ৮ : ৪৪)
১২) জগতের খোদা (২ করিন্থীয় ৪:৪)
১৩) লোহিতবর্ণ নাগ (আগুনের মতো বিরাট দানব) প্রকাশিত কালাম ১২ : ৩
১৪) লোসিফার (প্রভাতি তারা) ইশাইয় ১৪ : ১২
১৫) পাপের সন্তান ২ থিষলনী ২:৩
১৬) হত্যাকারী ইউহোন্না ৮ : ৪৪
১৭) পুরানো সাপ (প্রকাশিত কালাম ১২ : ৯; ২০:২)
১৮) অন্ধকারের ক্ষমতা (কলসিয় ১ : ১৩)
১৯) জগতের অধিপতি বা কর্তা (ইউহোন্না ১২ :৩১; ১৪:৩০; ১৬:১১)
২০) আসমানের ক্ষমতাশালীদের বাদশাহ ( ইফিষীয় ২:২)
২১) অন্ধকার রাজ্যের শাসনকর্তা (ইফিষীয় ৬ : ১২)
২২) শয়তান (১ বংশাবলি ২১:১; আইয়ুব ১:৬; ইউহোন্না ১৩:২৭; প্রেরিত ৫:৩; ২৬:১৮; রোমীয় ১৬:২০)
২৩) সাপ (পয়দায়েশ ৩ : ৪, ১৪; ২ করিন্থীয় ১১:৩)
২৪) বিনাশের সন্তান (ইউহোন্না ১৭ : ১২)
২৫) পরীক্ষক (মথি ৪:৩; ১ থিষলনী ৩ : ৫)
২৬) চোর (ইউহোন্না ১০:১০)
২৭) দুর্বলের আত্মা / পরগাছা (মথি ১৩ : ১৯, ৩৬)
সেই অপবিত্র ত্রিত্ব হলো শয়তান, জন্তু ও ভণ্ড নবী – প্রকাশাতি কালাম ২০ : ১০
৩. তার কৌশল কি ?
“যুদ্ধের জন্য খোদার দেয়া সমস্ত সাজ-পোশাক পরে নাও, যেন তোমরা শয়তানের সব চালাকির বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পার।” -ইফিষীয় ৬ : ১১ আয়াত
সে চালাকির মাধ্যমে মিথ্যা বলে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করে।
“যেন শয়তান আমাদের উপরে কোন সুযোগ-সুবিধা না পায় (প্রতারিত না হই)। তার মতলবের কথা তো আমাদের অজানা নেই” (২ করিন্থীয় ২:১১)
শয়তান আমাদের চিন্তা, মনকে নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা করে।
“চোর কেবল চুরি, খুন ও নষ্ট করবার উদ্দেশ্য নিয়েই আসে” (ইউহোন্না ১০:১০)
আসুন আমরা একবার চিন্তা করি, শয়তান আমাদের থেকে কি চুরি, খুন ও নষ্ট করতে চায়?(আলোচনা)
তিনটি মূল বিষয় এখানে আলোচনা করব :
১) অবিশ্বাসীদের মনকে সে অন্ধ করে রাখে। ২ করিন্থীয় ৪ : ৩-৪ আয়াত।
অনেকে আছে তারা বুঝে কিন্তু কেন যেন সন্দেহ, ও নানা বৈষয়িক চিন্তায় তারা ঈমান আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্ধকারের আত্মা থেকে যদি তারা মুক্ত হয় তাহলে তারা মসীহকে নাজাতদাতা হিসেবে গ্রহন করতে পারবে।
২) ঈমানদারদের প্রতি নির্যাতন করে যেন তারা খোদার অনুগ্রহ থেকে দুরে সরে যায়।
ইফিষীয় ৬ : ১২; জাকারিয়া ৩ :১; গালাতীয় ৩ : ১-২ আয়াত।
একজন ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনার পর নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে এবং নাজাত সে পেয়েছে কিন্তু শয়তান চেষ্টা করে তাকে বুঝাতে যে, না তাকে নাজাত পেতে হলে অনেক কাজ করতে হবে। শরিয়ত পালন করতে হবে। এটি শয়তাতের একটি ফাঁদ। যখনই আমরা এই ফাঁদে পা দিই তখন শয়তান আমাদের দোষী সাব্যস্ত করে এবং খোদার অনুগ্রহ থেকে সরিয়ে ফেলে।
৩) সে মানুষকে পাপ করাবার জন্য পরীক্ষায় ফেলে। গালাতীয় ৩ : ১-৬; ১ বংশাবলী ২১:১; মথি ৪:১
পরীক্ষা হলো : চেষ্ট করা, মূল্যায়ন করা ইত্যাদি
যখন একজন ঈমানদার পাপ কওে, তখন সে তার সাক্ষ্যকে নষ্ট করে ফেলে। শয়তান ঈমানদারদের সাক্ষ্যময় জীবনকে নষ্ট করতে চেষ্টা করে।
৪. মন্দ আত্মা কি?
১) তারা খোদার দ্বারা সৃষ্ট যেভাবে খোদা সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন।
২) তারা ফেরেস্তা হিসেবে খোদার সাথে ছিল (আইয়ুব ৩৮:৭)
৩) ফেরেস্তার পতনের মাধ্যমে মন্দ আত্মার সৃষ্ট।
ক) লুক ১০ : ১৮ ও মথি ২৫ : ৪১
খ) প্রকাশিত কালাম ১২ : ৩-৪; দানিয়েল ৮ : ১০
গ) প্রকাশিত কালাম ১২ : ৭-৯
৪) খারাপের থেকেও খারাপ
ক) ইহুদা ৬ আয়াত – তারা তাদের প্রথম অবস্থান ত্যাগ করেছেন।
খ) পয়দায়েশ ৬ : ৪ – খোদার সন্তানেরা মনুষ্যের মেয়েদের সাথে বিবাহ করিল
বেলসবূল (হযরত ঈসা এই বেলসবুলকে ‘বাতাসের অধিপতি’ হিসেবে আখ্যাত করেছেন)।
১) বাতাস হলো ভাইরাস রোগ বহনকারী যা অনেক সময় মৃত্যু ডেকে আনে। শয়তানও ভাইরাস রোগের মতো।
২) সর্তকতার সাথে বাতাস আকাশে উড়ে। শয়তান হলো আকাশের অধিপতি।
৩) বৃষ্টি বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রচন্ড বাতাস আসে। খোদা যখন কোন পরিবর্তন আনতে চায় ঠিক সে মুহুর্তে শয়তান আক্রমন করে।
৪) বাতাস আমাদের ধ্বংস করে এবং অপমানিত করে। শয়তানও তা-ই করে।
৫) বাতাস আমাদের প্রকাশ্যে আহত করে। একইভাবে শয়তানও আমাদের আবেগময় আহত করে।
৬) বাতাস আমাদের আক্রামন করে এবং আমাদের খাবার নষ্ট করে। শয়তান আসে হত্যা, চুরি ও ধ্বংস করতে।
৭) যা নষ্ট ও পরিত্যক্ত তাও বাতাস আক্রমন করে। শয়তান আমাদেরকে অপবিত্রতা ও পর্নোগ্রাফি দ্বারা আক্রমন করে।
৮) বাতাস সবসময় ধ্বংসের ভয় নিয়ে আসে। শয়তানের বড় অস্ত্র হলো ভয়।
৯) বাতাস অনেকসময় ব্যথা বা দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আসে। যা অনেক সময় দৈহিকভাবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়। শয়তানও অনেক সময় আমাদেরকে শারিরীক ভাবে কষ্ট দেয়।
১০) বাতাস অনেক সময় আমাদের শস্যক্ষেত্র ধ্বংস করে দেয়। শয়তানকেও গ্রাসকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
১১) বাতাস সামন্য ছিদ্র খোঁজে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। শয়তানও আমাদের সামান্য ছিদ্র খোলা পেলেই আমাদের মাঝে প্রবেশ করে।
১২) বাতাসে অনেক সময় বজ্রাঘাত আনে বা বাজ পড়ে। শয়তানও গর্জনকারী সিংহের মতো আমাদেরকে ধ্বংস করতে আসে।
মন্দ আত্মাকে চিনতে হলে দয়া করে আইয়ুব ৪ : ১২ -২১ আয়াত পড়তে হবে। অনেক সময় আমরা খোদার আত্মা ও মন্দ আত্মা এ দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝি না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমাদেরকে পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে, আসলে কোন আত্মা আমাকে নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছে।
১) এই আত্মা বিশেষ কালাম নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয় (১২ আয়াত)। বেহেস্তের বাগানে যেভাবে শয়তান শুভাকাংখী হিসেবে এসেছিল।
২) এই আত্মা সাধারণত রাত্রে আসে। অনেক সময় কষ্টদায়ক হিসেবে। (১৩ আয়াত)
৩) এই আত্মার আহ্বান জোরপূর্বক বা ধমকের সাথে আসে। (১৪-১৫ আয়াত)। ঈমানদারদের খোদা ভয়ের সাথে আহ্বান করনে না। খোদা আমাদের ভয়ের আত্মা দেন নি। তিনি ভালবাসা, ক্ষমতা ও সুন্দর মন দান করেছেন।
৫. তার অস্ত্রগুলো কি?
২ করিন্থীয় ১১:১৪ সে বেহেস্তের ফেরাস্তার মত করে আমাদের সামনে আসবে।
♦ অন্ধকার – ইফিষীয় ৬ : ১২; লূক ২২:৫৩
♦ প্রতারক – ২ থিষলী ২:১০; জবুর ১০:৭; রোমীয় ৩:১৩
♦ ভীতি প্রদর্শন – ১ শমূয়েল ১৭:৪ -১১ (গলিয়ত বীর), নহিমীয় ৪ : ১-৩
♦ মূর্খতা – হোশেয় ৪ : ৬; রোমীয় ১০:৩
♦ সন্দেহ – প্রেরিত ১৯:২৩-২৯ (আমি বুঝতে পারছি না)
♦ অবিশ্বাস (প্রশ্ন করা) – পয়দায়েশ ৩:১; প্রেরিদ ১২:১৪-১৫ (তুমি চিন্তা করো না)
৬. তার যুদ্ধ সাজ-সজ্জা কি?
১) মিথ্যা – (ভীতি প্রদর্শন ও সন্দেহ) = পয়দায়েশ ৩ : ৪; ১ রাজাবলী ১৩:১৮ ..,. সত্যা
২) অধার্মিকতা (ভুল চিন্তা) = ২ থিষলী ২:১০ . . . . ধার্মিকতা
৩) দোষী সাব্যস্ত করা = আইয়ুব ৪ : ১৭-১৮; নহিমিয় ৬:৬; . . . . . সুসমাচারের শান্তি
৪) ভয় (টেনশন, অস্থিরতা) = আইয়ুব ৪ : ১৪-১৫ . . . . . বিশ্বাস
৫) অন্যধরনের কথা (ঐতিহ্য, মতামত, ডিনোমিনেশন চিন্তা) = গালাতিয় ১ : ৬-৮ . . . খোদার কালাম
৬) ধ্বংস বা বিনাশ = ইউহোন্না ১০:১০; ১ করিন্থীয় ৫:৫ . . . . . নাজাত
৭) মানহানি (কুৎসা রটনা) (আনন্দ, নেশাগ্রস্ত, অলসতা) = বিচারকর্তৃকগণ ১৪:১-৩ . . . মোনাজাত
৭. তার ক্ষমতা কি ?
১. শয়তানের ক্ষমতা সীমিত
ক) ধ্বংস করার ক্ষমতা তার খুবই সীমিত। আইয়ুব ১ : ৯ – ১২
খ) পরীক্ষা বা প্রলোভন নিয়ে আসার যোগ্যতা তার সীমিত। ১ করিন্থীয় ১০:১৩
২. শয়তানের ক্ষমতা আছে তা বাস্তব
ক) সে বিবি হাওয়ার সাথে ছলনা করেছিল। ২ করিন্থীয় ১১:৩
খ) সে ম্যাজিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল। হিজরত ৭:১১-১২
গ) মন্দ আত্মার ক্ষমতা (ফকিরী, যাদু ) ব্যবহার করে। ১ শমূয়েল ২৮:১২-২০
ঘ) সে খোদার ফেরেস্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। দানিয়েল ১০:১৩
ঙ) তাকে বলা হয় জোরের খোদা। দানিয়েল ১১:১৩
৮. তার নির্ধারিত স্থান কোথায়?
১) জামাত থেকে পবিত্র আত্মা সরে না যাওয়া পর্যন্ত তাকে বাধা দিয়ে রাখা হবে। ২ থিষলী ২:৭-১১
২) সে মানুষ রূপে আসবে এবং পৃথিবীতে প্রতারণা করবে। ২ থিষলী ২:৩-৬
৩) সে যেহেতু জানে তার সময় সংক্ষিপ্ত তাই সে পৃথিবীতে উত্তেজন ছড়ানোর জন্য আসবে। প্রকাশিত কালাম ১২: ৯-১২
৪) ধার্মিকগনের প্রতি দুঃখ-কষ্ট দিতে যে যুদ্ধ করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে। প্রকাশিত কালাম ১৩:৭
৫) তার ক্ষমতা থাকবে যেন পশুর এবাদত করার জন্য মানুষকে কষ্ট দিতে পারে। প্রকাশিত কালাম ১৩ : ১২-১৫
৬) তাকে এক বছরের জন্য বন্ধি করা হবে এবং পরে অল্প সময়ের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। প্রকাশিত কালাম ২০:১-৯
৭) তাকে অনন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হবে। মথি ২৫:৪১; প্রকাশিত কালাম ২০:১০
= = = সমাপ্ত = = =