প্রভুর ভোজ - Lord's Supper

রেভাঃ আবদুল মাবুদ চৌধুরী

মথি ২৬ : ২৬-৩০; মার্ক ১৪ : ২২-২৬; লুক ২২ : ১৪-২০ আয়াত

ইউহোন্না ১৩ : প্রথম কয়েকটি আয়াত : পাঠ করলে দেখা যাবে শুধু ঈদুল ফেসাখের খাবারের কথা বলা
হয়েছে। (অনেকটা কোরবানীর অনুষ্ঠানের মত)।

পরবর্তী সময়ে সাহাবীরা তা খুবই কঠোরভাবে ও পবিত্রতার সাথে মেনে চলেছিল।

♦          প্রেরিত ২ : ৪২ আয়াত : প্রতিদিন সবাই প্রভুর ভোজ গ্রহন করত।

♦          প্রেরিত ২০ : ৭ আয়াত : সপ্তাহে একদিন সবাই মিলিত হত ও প্রভুর ভোজ গ্রহন করত।  ১১ আয়াত : হযরত

 পৌল প্রভুর ভোজ গ্রহন করলেন।

♦          ১করিন্থীয় ১ : ১৬-১৭ আয়াত : সবাই একদেহ, এক ভাই হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া

২১ আয়াত : ভন্ডামী বা অবহেলা করা উচিত নয়, তাহলে প্রভুর শাস্তি নেমে আসবে।

♦          ১করিন্থীয় ১১ : ২৩-২৭ আয়াত : -প্রভুর মৃত্যুর কথা প্রচার করা যোগ্য হওয়া।

     -যোগ্য হওয়া

     -অসম্মান করার পরিণতি

♦          প্রেরিত ২ : ৪৬ আয়াত : সাধারণ খাওয়া-দাওয়া নয়। -এই অনুষ্ঠান একটা বিশেষ সময়ে ও মুহুতে করা হয়। তা হলো “মোনাজাত ও কিতাব থেকে শিক্ষা”র সময়। সুতরাং এ অনুষ্ঠান জামাত ভিত্তিক করা হয়, কারণ ঐখানেই সবাই মিলিত হয়।

♦          প্রেরিত ২ : ৪২; ২০ : ৭ আয়াত : বিশেষ সময় ও দিনে তা করা হয়। তাই ঈমানদারদের জীবনে এটার আলাদা একটা সম্মান ও শুরুত্ব রয়েছে।

♦          সেজন্য হযরত পৌল বলেছেন, এটা সাধারণ বিষয় নয়। ১করিন্থীয় ১০ : ১৬ আয়াত অনুসারে প্রভুর ভোজের মধ্য দিয়ে আমরা হযরত ঈসা মসীহের অংশী হই।

ঈসায়ীদের জন্য এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এখানে হযরত পৌল তাদের বচসা করেছেন-তোমাদের ঘর নেই যেখানে খাওয়া-দাওয়া করতে পার, এবাদত, গান, ভক্তি, ছাড়া-প্রভুর ভোজে অংশগ্রহন করতে পার না।

সুতরাং,

১.         নাজাতের জন্য যে ত্যাগ তা চিন্তা করে মনকে পরিস্কার করা

২.         পাপের প্রতি ঘৃণার জন্ম নেয়া

৩.         ক্ষমার খোদায়ী প্রতিজ্ঞার নিশ্চিত হওয়া

৪.         খোদায়ী ভালবাসার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া

৫.         হযরত ঈসা মসীহ্ ও তাঁর লোকদের সাথে এক সহভাগিতার আনন্দ করা

৬.         অন্তরে সবাই একদেহ ও একধ্যানে একাত্ম থাকা যা খোদা দেখতে চান।

৭.         তাঁর আগমন পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুকে স্মরণ করে অপেক্ষায় থাকা

৮.         এ সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে আরো পবিত্র, রূহানিক বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত ভাবে রহমত লাভ করা

♦          ১ করিন্থীয় ১২ : ১২ আয়াত : একদেহ ও এক বাপ্তিস্ম

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *